What the Prophet said to do in the selection of husband and wife.
Choosing a spouse: Guidance from the Prophet Muhammad (ﷺ)
Marriage is one of the most significant decisions in a person’s life. It is a sacred union that forms the foundation of a family and carries immense spiritual and social implications. In Islam, choosing a spouse is not just a personal choice; it is an act of seeking Allah’s blessings and building a life aligned with His guidance.
Prophet Muhammad (ﷺ) recognized the importance of choosing a righteous spouse and provided numerous insights and teachings to guide Muslims on this path. Here are some key points from his teachings on marriage:
Seeking piety and good character:
- The Prophet (ﷺ) emphasized the importance of piety and good character as the most crucial factors in choosing a spouse. He said: “A woman is married for four reasons: her wealth, her lineage, her beauty, and her religion. Choose the one who is religiously sound, and prosper.” (Sahih al-Bukhari)
- This emphasizes that a spouse’s character and faith should be prioritized over worldly attributes like wealth and beauty. A person who is pious and possesses good character will be a source of support, strength, and guidance throughout life.
Seeking compatibility and shared values:
- The Prophet (ﷺ) also encouraged Muslims to consider compatibility and shared values when choosing a spouse. He said: “Marry your equal.” (Sahih al-Bukhari)
- This does not imply finding someone identical but someone who shares common goals, beliefs, and values. Compatibility in terms of age, education, temperament, and cultural background can contribute to a harmonious and fulfilling marriage.
Consulting with family and trusted individuals:
- The Prophet (ﷺ) advised Muslims to seek guidance and counsel from their parents and trusted individuals when making decisions about marriage. He said: “Consult with those who fear Allah.” (Sahih al-Bukhari)
- This underscores the importance of seeking advice from wise and experienced individuals who can offer valuable insights and perspectives based on Islamic principles and cultural norms.
Following Islamic guidelines and procedures:
- The Prophet (ﷺ) established clear guidelines and procedures for marriage in Islam. These include the requirement for a valid marriage contract (nikah), the consent of both partners and their guardians, and the payment of a dowry (mahr).
- Following these guidelines ensures that the marriage is valid and blessed in the sight of Allah. It also establishes a clear legal framework for the relationship, protecting the rights and responsibilities of both spouses.
Avoiding hasty decisions and seeking Allah’s guidance:
- The Prophet (ﷺ) cautioned against making hasty decisions in marriage and emphasized the importance of seeking Allah’s guidance through prayer and contemplation. He said: “Istikhara (prayer for guidance) is obligatory in every matter.” (Sunan an-Nasa’i)
- Istikhara allows individuals to seek clarity and confirmation from Allah before making a final decision about their choice of spouse.
Considering the impact on one’s faith and family:
- The Prophet (ﷺ) reminded Muslims that their spouses should complement and strengthen their faith and family life. He said: “The best of you are the best in character towards their wives.” (Tirmidhi)
- Choosing a spouse who encourages piety, strengthens family bonds, and fosters a positive environment is crucial for building a successful and happy marriage.
Beyond these specific teachings, the Prophet (ﷺ) also set a personal example of a loving and compassionate husband. He treated his wives with respect, kindness, and equality, demonstrating the importance of these qualities in a successful marriage.
Additional Resources:
- “The Ideal Muslimah” by Muhammad Ali al-Hashimi
- “The Muslimah’s Guide to Marriage” by Muhammad Ali al-Hashimi
- “Before You Get Married” by Muhammad S. Abdul Bari
- “Keys to a Successful Marriage” by Muhammad S. Abdul Bari
Conclusion:
Choosing a spouse is a significant decision that requires careful consideration and prayer. By following the guidance of Prophet Muhammad (ﷺ) and seeking Allah’s blessings, Muslims can make informed choices that lead to fulfilling and successful marriages.
বিয়ের আগে বিবেচ্য ১০ বিষয়
বিয়ে সফল করতে এবং সারাজীবন স্থায়ী করার জন্য দম্পতিকে বিয়ের আগে বেশ কয়েকটি বিষয়ে ভাবতে হয়
যে কোনো ব্যক্তির জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হলো বিয়ে। বিয়ে এমন একটি ধাপ যেখানে একে অপরের ভালো সময় এবং খারাপ সময়ের মধ্যে ভালবাসার আর পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু বিয়ে সফল করতে এবং সারাজীবন এটিকে স্থায়ী করার জন্য, দম্পতিকে বিয়ের আগে বেশ কয়েকটি বিষয়ে ভাবতে হয়।
তাই বিয়ের আগে নিম্নলিখিত ১০টি বিষয় বিবেচনায় রাখা উচিত।
সামঞ্জস্যতা
সামঞ্জস্যতা প্রতিটি সফল বিবাহের একটি প্রয়োজনীয় উপাদান। বিয়ের গাঁটছড়া বাঁধার আগে দম্পতিকে অবশ্যই তাদের সামঞ্জস্যতা বিশ্লেষণ করতে হবে। সামঞ্জস্যতা মূল্যবোধ, বিশ্বাস, আগ্রহ এবং উদ্দেশ্যগুলোর মতো জিনিসগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে। উদাহরণস্বরূপ, যদি একজন সঙ্গী সততা এবং বিশুদ্ধতাকে মূল্য দেয় কিন্তু অপরজন সেই নীতিগুলি সম্পর্কে উদাসীন আর নমনীয় থাকেন তাহলে সেটি সম্পর্কে মধ্যে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
যোগাযোগ
সুস্থ যোগাযোগ মানেই সুখী বৈবাহিক সম্পর্ক। জীবনে যেখানেই দাঁড়ান না কেন, দম্পতিকে অবশ্যই দক্ষতার সঙ্গে, স্বাধীনভাবে এবং সৎ থেকে একে অপরের সঙ্গে কথা বলতে হবে। মতবিরোধ এবং ভুল বোঝাবুঝি কাটিয়ে উঠতে এবং দম্পতিদের মধ্যে সম্পর্ক বাড়াতে যোগাযোগ একটি অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। উদাহরণস্বরূপ, যদি একজন ব্যক্তি রাগান্বিত হন বা কোনো সমস্যায় পড়েন, তাহলে তাদের উচিত সঙ্গীর কাছে তা প্রকাশ করা যেন সঙ্গী বুঝতে পারে। সেটি তার যেকোনো সমস্যাই হোক না কেন।
আর্থিক সামঞ্জস্য
অনেক সম্পর্কের মতো দাম্পত্য জীবনে আর্থিক সক্ষমতাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দম্পতির বিয়ের আগে তাদের আর্থিক সামঞ্জস্য বিশ্লেষণ করা উচিত। এতে ঋণ, সঞ্চয় এবং ব্যয়ের ধরণ জড়িত। উদাহরণস্বরূপ, যদি একজন খরচে স্বভাবের হয়ে থাকেন এবং অন্যজনের সঞ্চয় করার প্রবণতা থাকে, তাহলে সমস্যা তৈরি হতে পারে। এখানে দুজনকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
পারিবারিক পটভূমি
ব্যক্তির পারিবারিক পটভূমি তাদের ব্যক্তিত্ব, বিশ্বাস এবং দৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। বিয়ের আগে একে অপরের পারিবারিক পটভূমি এবং তারা কীভাবে বিবাহকে প্রভাবিত করতে পারে তা বোঝা অপরিহার্য। যেমন, একজন যদি কঠোর, রক্ষণশীল পরিবারের বেড়ে উঠেন এবং অপরজন উদারপন্থী পরিবারে বেড়ে উঠে তবে এটি দ্বন্দ্বের কারণ হতে পারে।
দ্বন্দ্ব সমাধান
দাম্পত্য সম্পর্কে বিবাদ থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। দম্পতিকে অবশ্যই বন্ধুত্বপূর্ণ এবং কার্যকরভাবে বিরোধগুলো সমাধান করতে হবে। একে অপরের সমস্যা শোনা ও বিভিন্ন চুক্তি আলোচনার মাধ্যমে আপস করা যায়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, যদি একজন শহরে থাকতে চান এবং অপরজন গ্রামে থাকতে চায়, তাহলে তাদের একটি সমঝোতায় আসতে হবে যাতে উভয়ের উপকারে আসে।
জীবনধারা
জীবনধারা একে অপরের সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। শখ, অবসর সময় এবং সামাজিকীকরণের মতো জিনিসগুলো দাম্পত্য জীবনে প্রভাব ফেলে। উদাহরণস্বরূপ, যদি একজন বাইরে সময় কাটাতে পছন্দ করেন এবং অপরজন বাড়িতে থাকতে পছন্দ করেন তবে এটি পারস্পারিক দ্বন্দ্ব তৈরি হতে পারে।
লক্ষ্যে অন্তর্মিল
দম্পতিদের মাঝে তাদের ভবিষ্যতের জন্য অভিন্ন উদ্দেশ্য এবং ইচ্ছা থাকতে হবে। চাকরি, পরিবার এবং ব্যক্তিগত উন্নয়নের মতো উদ্দেশ্যগুলি এর অন্তর্ভুক্ত। উদাহরণ হিসেবে, যদি একজন সন্তান নিতে আগ্রহী কিন্তু অপরজন তাতে উৎসাহী না হলে সেটি সম্পর্কের ক্ষেত্রে উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
মানসিক সামঞ্জস্য
প্রতিটি বিয়েতেই মানসিক সামঞ্জস্য অত্যাবশ্যক। জীবনে উত্থান পতনের প্রতিটি মুহূর্তেই একে অপরের পাশে থাকা জরুরি। উদাহরণস্বরূপ, যদি একজন একটি কঠিন সময় পার করতে থাকেন, তবে অপরজনকে মানসিক সমর্থন দিয়ে পাশে থাকা উচিত।
ধর্মীয় বিশ্বাস
ধর্ম একজন ব্যক্তির জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারে। বিয়ের আগে ধর্মীয় সামঞ্জস্যতা বিবেচনা করতে হবে। এর মধ্যে বিশ্বাস, ঐতিহ্য এবং রীতিনীতির মতো বিষয় নিয়ে কথা বলা জড়িত। যেমন, যদি একজন যদি খুব ধার্মিক হন এবং অপরজন যদি সেটিকে হালকা ভাবে নিয়ে থাকেন, তবে তা সর্বদা বিবাদের কারণ হতে পারে।
ব্যক্তিগত সমৃদ্ধি
বিবাহ ব্যক্তিগত বিকাশ এবং অগ্রগতির একটি প্রক্রিয়া। সংসারে একে অপরের ব্যক্তিগত বৃদ্ধি এবং বিকাশের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। এর মধ্যে জড়িত থাকে তাদের স্বপ্ন এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষা অর্জনের জন্য একে অপরকে সমর্থন। উদাহরণস্বরূপ, যদি একজন উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করতে চায়, তবে অন্য সদস্যকেও সেটিতে সম্মত হতে হবে।
বিয়ে যে কারো জীবনেই একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। বিয়ে করার আগে বিভিন্ন পরিবর্তনশীল বিষয়গুলো যাচাই করা আবশ্যক। বিয়ে একটি সমন্বয়। উভয় পক্ষকে অবশ্যই একে অপরকে সমর্থন খোলামেলা কথা এবং উদ্ভূত যে কোনো সমস্যা সমাধানের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে হবে
সুখী দম্পতি যে ৮টি বিষয় এড়িয়ে চলেন
যে সব মনোবিদ বিভিন্ন দম্পতির মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটানো এবং সুসম্পর্ক তৈরির উদ্দেশ্যে নিয়মিত কাউন্সেলিং করেন তাদের মতে, অনেক ধরনের ছোট ছোট আচরণ বা কাজ দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক নষ্ট করে দিতে পারে।
যে সব মনোবিদ বিভিন্ন দম্পতির মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটানো এবং সুসম্পর্ক তৈরির উদ্দেশ্যে নিয়মিত কাউন্সেলিং করেন তাদের মতে, অনেক ধরনের ছোট ছোট আচরণ বা কাজ দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক নষ্ট করে দিতে পারে।
এ ধরনের কিছু বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে জানব সুখী দম্পতিরা তাদের সম্পর্ক ঠিক রাখার জন্য আসলে কোন বিষয়গুলোকে এড়িয়ে চলেন আর কোনগুলো মেনে চলেন। এখানে এড়িয়ে চলা শব্দ দুটি ব্যবহারের কারণ অনেক সময় মানুষ নিজের অজান্তেই অবচেতন মনে অনেক আচরণ করে ফেলেন। তবে, যারা সুখী সম্পতি তারা চেষ্টা করেন তাদের প্রতিটি কাজ চিন্তা ও সম্মানপ্রদর্শনের মাধ্যমে করতে। সেখান থেকেই আলোচনা করব তাদের এড়িয়ে চলা কাজগুলো।
যেকোনো বিষয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে সংকোচবোধ করেন না
সম্পর্কে থাকা অবস্থায় এমন অনেক বিষয় আসতে পারে যেগুলো নিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে আলোচনা করতে হয়তো কিছুটা সংকোচ লাগতে পারে। সুখী দম্পতি তাদের সঙ্গীর সঙ্গে কোনো বিষয়ে নিঃসংকোচে কথা বলতে পারেন। যত জটিল বিষয় হোক না কেন তারা একে অপরের সঙ্গে ভাগাভাগি করেন এবং নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় সমাধানের চেষ্টা করেন। পরস্পরের অনুভূতির ব্যাপারটা কখনোই এড়িয়ে যেতে চান না। অর্থসংক্রান্ত জটিলতা হোক কিংবা শ্বশুরবাড়ি সংক্রান্ত কোনো সমস্যা তারা নিজেদের মধ্যে প্রথমে আলোচনা করেন। যৌন সংক্রান্ত বিষয়ে দম্পতির মধ্যে থাকতে হবে সংকোচবিহীন সংলাপ।
যদি দম্পতির মধ্যে সব ধরনের বিষয় নিয়ে আলোচনা না হয় কিংবা তারা কম কথাবার্তা বলে থাকেন, তাহলে নিজেদের মধ্যে বিশ্বাস ও আস্থা হারিয়ে ফেলেন। সেখানে তখন অবধারিতভাবেই জন্ম নেয় সন্দেহ কিংবা বিদ্বেষ। তাই সব বিষয় নিয়ে ধৈর্য সহকারে ও আগ্রহ নিয়ে আলোচনা করে থাকেন সুখী দম্পতি।
একে অন্যের ভালো ও মন্দ কাজের তুলনা করেন না
সুখী দম্পতি নিজেদের মধ্যে ভালো কাজ ও মন্দ কাজের হিসাব করেন না। তাদের কে আগে কী ভালো কাজ করেছে কিংবা খারাপ কাজ করেছে সেগুলো নিয়ে নিজেদের মধ্যে তুলনা করেন না এবং এসব বিষয়ে কম কথা বলেন। সুখী দম্পতি কখনো মনে করেন না যে, আজকে আমি এই কাজটা করলাম তো কালকে সে এই কাজটা করবে। তারা কেবল সেগুলোই করেন যেগুলো তারা একে অন্যের জন্য করতে পছন্দ করেন। সেখানে তাদের ফিরতির কোনো আশা থাকে না। তাদের প্রতিটি আচরণ নিজেদের ভালোবাসা থেকে করেন। তবুও অনেক সময় সম্পর্কের ক্ষেত্রে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে যখন একজনের ওপরে কোনো বিষয়ে অতিরিক্ত চাপ হয়ে যাচ্ছে।
সেক্ষেত্রে তারা খুব শান্তভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন।
একজন আরেকজনের ওপর রাগ পুষে রাখেন না
সে সব দম্পতি অসুখী তারা অনেক না পাওয়া ও হতাশা থেকে নিজের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করেন। তারা তাদের সঙ্গী থেকে কোন কোন বিষয়গুলো পাচ্ছেন না কিংবা কোনো বিষয়ে ঝগড়া হলে সে বিষয়ে নিজের মনে ক্রোধ জমা করে রাখেন। তবে, সুখী দম্পতি নিজেদের মধ্যে হওয়া ঝগড়া বেশিদিন মনে রাখেন না। তারা ছোট ছোট বিষয়গুলোতে সহজেই নিজেদের ক্ষমা করে দেন। সুখী দম্পতির ঝগড়া হয় না বিষয়টা এমন না। কিন্তু তারা সেই ঝগড়া থেকে শিক্ষা গ্রহণে করে এবং এগিয়ে যান একসঙ্গে।
একজন আরেকজনের সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করেন না
সুখী দম্পতি একজন আরেকজনের বিষয়ে কখনোই নেতিবাচক কোনো শব্দ ব্যবহার করেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেক দম্পতি রয়েছেন, যারা অনেক সময় একে অন্যকে অপদার্থ, অলস, অকর্মাসহ আরও অনেকভাবে নিজের সঙ্গীকে বিশেষায়িত করে থাকেন। এটি একেবারেই অনুচিত। সুখী দম্পতি কখনোই এমনটা করেন না। তারা যখন তাদের সঙ্গী সম্পর্কে কারও সঙ্গে কথা বলেন, তখন তারা ইতিবাচক এবং সম্মানের সঙ্গে কথা বলেন।
একে অন্যের ব্যক্তিগত বিষয়ে নাক গলান না
যখন কোনো সম্পর্কে একে অন্যের প্রতি বিশ্বাস থাকে সেখানে আর মোবাইলের টেক্সট মেসেজ কিংবা ইমেইল চেক করার প্রয়োজন হয় না। তারা তাদের সঙ্গীর ব্যক্তিগত বিষয় কম চর্চা করেন এবং কিছুটা স্পেস দেন। একটি সুস্থ স্বাভাবিক সম্পর্কে কোনো কিছু লুকানো থাকে না বলে কোনো কিছু খুঁজে বের করারও কোনো ঝামেলা নেই।
তারা কখনোই নিজেদের সঙ্গে মিথ্যা বলেন না
সুখী ও সুস্থ দাম্পত্যে মিথ্যার কোনো স্থান নেই। তাদের সব বিষয়ে সত্য কথা বলার সৎ সাহস থাকে। তাই কোনো বিষয় যতই জটিল হোক না কেন, তারা কখনোই সরাসরি মিথ্যা বলেন না। কোনো সম্পর্কে যদি মিথ্যার কোনো ছায়া থাকে, তাহলে সেই সম্পর্কে দূরত্ব অবধারিত। মিথ্যা লালন করতে ও লুকাতে সম্পর্ক চালিয়ে যেতে যাবতীয় শক্তি ব্যয় হয়ে যায়। ফলে নিজেদের জন্য কোনো সময়ই থাকে না। তারা নিজের সঙ্গীকে প্রতিযোগী মনে করেন না। সুখী দম্পতি নিজেদের সব সময় একই দলের বলে মনে করেন। তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতার কোনো অবস্থা থাকে না। নিজের সঙ্গীকেই যদি নিজের শত্রু বলে মনে হয় তাহলে সেই সম্পর্কের চেয়ে অশান্তির আর কিছু নেই।
সঙ্গীকে প্রতিযোগী মনে করেন না
দাম্পত্য জীবনে বিভিন্ন বিষয়ে মতভেদ হতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই কোনো বিষয় নিয়ে তর্ক হতেই পারে। এ অবস্থায় সুখী দম্পতি নিজেদের অবস্থানে অটল না থেকে কিছুটা সমঝোতার মাধ্যমে একটা সিদ্ধান্তে আসে। তারা সেই তর্কে নিজেদের জয়ী বানানোর প্রতিযোগিতায় যোগ দেয় না। নিজেদেরকে তারা কোনোভাবেই অগ্রাহ্য করতে চান না।
একজন আরেকজনকে উপেক্ষা করেন না
সব সম্পর্কই একটি চলমান বিষয়। সেখানে প্রয়োজন একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। নিজেদের মধ্যে যে সম্পর্ক দাম্পত্য জীবনের শুরুতে থাকে সেটাকেই দীর্ঘদিন ধরে লালন পালন করতে হয়। একে অন্যকে সময় দেবার বিভিন্ন রকমের উপায় আছে। সেগুলো উপেক্ষা করে যদি সারাদিন ইন্টারনেটে মগ্ন থাকা হয়, একজন আরেকজনকে গুরুত্ব দেওয়া না হয় তাহলে সম্পর্ক খুব বেশি মধুর হবে না।
দেখা গেছে সুখী দম্পতি একে অন্যের সঙ্গে বেশি সময় কাটায়। নিজেদের অফিস থেকে বাসায় ফিরে একসঙ্গে রাতের খাবার খায়, একসঙ্গে বসে গল্প করে, সিনেমা দেখে। এভাবে তাদের মধ্যকার সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হয়।
সুখী দম্পতি প্রতিনিয়ত নিজেদের সম্পর্ককে কীভাবে আরও বেশি ভালো করা যায় সেগুলো নিয়েই ভাবেন। তাদের আচরণে এই ভাবনারই বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়।
matrimony website in bangladesh